অবতরণিকা
জগৎগুরাচার্য্য পরমহংস পরিব্রাজক শ্রীমৎ স্বামী ব্রজানন্দ সরস্বতী জীউ (১৭১৯ - ১৯৭৯খ্রিঃ) হলেন সনাতন ধর্মের পরমপুরুষ(পরম সত্ত্বা) এবং তাঁর অনুসারীদের মধ্যে তিনিই আরাধ্য ভগবান। "পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্ম্মাবলম্বী চিরস্মরণীয় সাধক ও মহাপুরুষগণের মধ্যে ঠাকুর ব্রজানন্দের স্থান একটু স্বতন্ত্র কারণ তিনি সাধক নহেন স্বয়ং স্বাধ্য উপাসক নহেন উপাস্য"- তাঁর শিষ্যসমাজে, এমনকি তাঁর আধুনিক ভক্তসমাজেও তিনি ঈশ্বরের অবতাররূপে পূজিত হন। ভগবান ব্রজানন্দই ভব ভয় হারি সেই গোলকের শ্রীহরি যিনি বার বার এসেছেন নানা রুপে জীবের ত্রাণের জন্য। ভগবান ব্রজানন্দ সরস্বতীর আবির্ভাব(১৭১৯ – ১৯৭৯খ্রিঃ)ভারত বর্ষের কনৌজে। তাঁর গুরু পিতার নাম ত্রিপুরানন্দ যিনি ছিলেন কঠোরতপা উগ্র শিবসাধক এবং মাতার নাম দূর্গাবতী। উল্লেখ্য দাদাগুরুর নাম স্বামী মথুরানন্দ সরস্বতী। যে দিন "স্বামী ব্রজানন্দ" ভূমিষ্ঠ হন সেদিন পূর্ব্বাহ্নে তিনি(স্বামী মথুরানন্দ সরস্বতী) স্বপ্নে পান তিনি(স্বামী ব্রজানন্দ) স্বয়ং ভগবান বুড়াশিব এবং তিনি রাধাকৃষ্ণের পূর্ণ ভাবকান্তি নিয়ে আসছেন। মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন শিবোহহম্ শিবোহহম্ ধ্বনি মুখে নিয়ে সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর সহজাত কোঁয়া কোঁয়া ধ্বনিতে মুখর হননি। উগ্র শিবসাধক স্বামী ত্রিপুরানন্দ সদ্যজাত শিশুর মুখে সাবলীল শিবোহহম্ ধ্বনি শুনে তৎক্ষণাৎ বিল্ল পত্রাঞ্জলিযোগে ঐ শিবোহহম্ মুখর শিশুকে ভক্তি দেন। তৎপরে কনৌজে বিদগ্ধ ব্রাহ্মণ ও পন্ডিৎ সমাজ সদ্যজাত শিশুর অলৌকিকত্ব প্রত্যক্ষ করেন ও ভক্তি দেন। ব্রজানন্দের মায়ের মৃত্যুর পর স্বামী মথুরানন্দ সরস্বতীর আদেশে গুরু পিতা ত্রিপুরানন্দ সন্ন্যাস নেন এবং ৩/৪ বছর বয়সে শিশু স্বামী ব্রজানন্দকে নিয়ে গুরু পিতা তীর্থ ভ্রমনে বেরিয়ে যান। গুরুপিতার স্কন্ধে চেপে তিনি ভ্রমণ করেছেন ভারতের সমস্ত তীর্থক্ষেত্র। উত্তর-পূর্ব ভূখন্ড পরিক্রমকালে স্বামী ব্রজানন্দ সহ ত্রিপুরানান্দ এসে পৌছালেন বাংলাদেশের ঢাকার তৎকালিন রমনার শিববাড়িতে বর্তমান শাহবাগে যা তখন জঙ্গল ছিলো যেখানে বাস করত বাঘ, বিষধরসাপ, বিচ্ছু সহ নানা ধরনের পশু পাখিরা অর্থাৎ গভীর জঙ্গল। এখান থেকেই তিনি নিজেকে প্রকাশ করেন। তিনি ৩ বছর বয়স থেকেই কৃষ্ণের পূর্ণভাবকান্তিতে ঝুলন উৎসব করতেন ঝুলনে আরোহন করতেন। শ্রীমুখে ঘোষণাও করেছেন "ব্রজানন্দ মানবে কৃষ্ণ, তাজা গোবিন্দ। আমাকে মনুষ্যজ্ঞান করলে সর্বনাশ হবে।" মানুষের কল্যাণের জন্যই ভগবান ব্রজানন্দের মর্ত্যে আবির্ভার। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের মনে আধ্যাত্মিক চেতনার উন্মেষ ঘটিয়ে, সকল ব্যথা ও দুঃখ দূর করে জীবনকে সুন্দর ও সমৃদ্ধ করার উদ্দেশ্যে তিনি নূতন পথের সন্ধান দিয়েছেন। হিংশা, লোভ ও ক্রোধের বহ্নিশিখায় তপ্ত পৃথিবীর মানুষকে নূতন মানব ধর্মে দীক্ষিত করার উদ্দেশ্যে ঢাকার সুপ্রচীন বুড়াশিবধাম, ঢাকা বাংলাদেশ এর অধীন প্রেম ও শান্তির স্বর্গরাজ্য - গুরুধাম বাঙ্গুর অ্যাভিনিউ, কলকাতা, ভারতবর্ষ। নবদ্বীপ বুড়শিব ব্রজধাম, নবদ্বীপ, ভারতবর্ষ। বৃন্দাবন বুড়াশিব ব্রজানন্দধাম, ভারতবর্ষ। দেউন্দি বটতলা গুপ্তবৃন্দাবন ব্রজানন্দধাম, হবিগঞ্জ, বাংলাদেশ। ব্রাহ্মণডুরা বুড়াশিব ব্রজধাম, বাংলাদেশ। মানিকগঞ্জ পূর্ণানন্দভবন, মানিকগঞ্জ, বাংলাদেশ। বিশ্বগুরু ভগবান ব্রজানন্দ নিজে প্রতিষ্ঠা করেন।
ওঁ ব্রজানন্দ ওঁ
শ্রী শ্রী ব্রজানন্দ সত্যনারায়ণের পাঁচালি
হরে ব্রজানন্দ হরে
হরে ব্রজানন্দ হরে।
গৌর হরি বাসুদেব
রাম নারায়ণ হরে।।(ধূয়া- “হরে ব্রজানন্দ হরে”)
ভক্তিনিষ্ঠা সহকারে এ তারক ব্রহ্মনাম
লও যত ভক্তগণ হবে পূর্ণ মনস্কাম।
যুগে যুগে দেন প্রভু নব নব মহানাম;
যেই রস পান করি তৃপ্ত জীব অবিরাম।
নবতম এই নাম ভজ, চিন্ত, কর সার,
যাবে দূরে তাপ জ্বালা হৃদয়ের অন্ধকার ।
ওঁ ব্রজানন্দ ওঁ
জয় বাবা বুড়াশিব নিত্যনিরঞ্জন
আদিদেব মহেশ্বর পতিতপাভবন
ভগবান ব্রজানন্দ রিসার্চ এন্ড এজুকেইশন ইন্সটিটিউট